বিদগ্ধ শরীর
নিঃশেষপ্রায়, আলো নিভে গেলে জন্ম নেয় ছায়ার শরীর,
তোমার নিঃশ্বাসে আমি শুনি মৃত জলের ক্ষরণ।
আদিম গুহায় কেঁদে ওঠে একা মৌনতার চোখ,
যার প্রতিধ্বনি মিশে যায় পাথরের গর্ভজাত ঘুমে।
সেই ঘুমে তুমি পাথর নও, রক্তের ছোপে আঁকা এক নাম,
তোমার আঙুল ছুঁয়ে খুলে যায় কালপুরুষের গোপন দরজা।
কোনও এক মহাজাগতিক গন্ধে ভিজে ওঠে বুক,
আর আমি হারিয়ে যাই লাল শালিকের বিপন্ন চোখে।
জেনে রেখো, ঘোড়ার খুরে লেখা ছিল যে কবিতা,
তার শেষ স্তবকেই ছিল আমার অনন্ত প্রস্থান।
আমি যেন ঝরেপড়া ধুলোর মাঝে গড়ানো শিমুল-পরাগ,
কারণ মৃত্যু শুধু অনুপস্থিতি নয়, এক ভিন্ন উপস্থিতি।





Leave a comment