মিথিলার বিবেক
আমার ভিতরে নদী নয়, একটি প্রাচীন আয়না
যেখানে প্রতিদিন জন্ম নেয় এক অস্পষ্ট শরীর।
তোমরা যখন নিয়ম বানালে কাচের কাঠামোয়,
আমি তখন রঙপুঁতে রাখতাম মাটির নখে।
তোমরা যখন ব্যস্ত ছিলে নীতির হিংসাত্মক সংজ্ঞা নিয়ে,
আমি তখনোআঙুলের মহিমা নিয়ে অদ্ভুত স্বপ্ন দেখি।
নদীরবাঁকে এক চিলতে প্রেমের নাম মিথিলা,
যার শরীরের বিনিময়ে ছিলোনা কোন পরোক্ষ নিয়ম,
জগণ্য দিবালোকে সমর্পণ করেছি আমাকে,
যদি অনুশাসনে বিলুপ্ত হয় হোক দুঃশাসনের আদি-অন্ত!
তোমরা বলেছিলে, একটি আঙুলে হবে কর্তৃত্বের রেখা,
আর আমি লিখে দিয়েছিলাম আঙুলের ভেতরে
একটি শব্দ- জয়বাংলা..
উচ্চারণহীন, রক্তে তার তর্জনী জেগে থাকে।
এখন সে আর নাম নয়, বিধ্বস্ত একটি শব্দ,
যা প্রতিদিন আমার ঠোঁট ছুঁয়ে যায়
উচ্চারণে বহত হয়, অদৃশ্য ভয় গ্রাস করে আমাকে ।
আমার যোনি একটি স্বপ্নময় বাগান
বীজে বোনা হয়না ফল কিংবা ফুল, শুধু আঁশটে গন্ধ
আর মাটি ভুলে যায়…
কী জন্ম দিয়েছিল একদিন!
আমি যখন আয়নায় তাকাই, নিজেকে দেখিনা,
দেখি এক দিগন্তরেখা, একপাশে দাঁড়িয়ে আমি
আর অন্যপাশে ঝুলেথাকে বীভৎস রাষ্ট্রদ্রোহী শকুনেরা।
সকালে ধোঁয়ার ভেতর আমি দাঁড়িয়ে থাকি,
আমার চোখে এখন রঙচটা কোন স্বপ্ন নেই
ঝাপসা অন্ধকার। উচ্ছিষ্ট খাবারের বিনিময়ে
উপড়ে ফেলা হয় আমার একমাত্র বিবেক।





Leave a comment