নীরবতার মহাকাব্য
জন্মের অনেক আগেই স্বপ্নের অগ্নিপুঞ্জে জ্বলেউঠি,
আর্দ্র বাতাসের গোপন ভাঁজে তোমার নাম ছিল না।
ঘুমপাড়ানি এক ছায়া শিখিয়েছে নিঃশব্দ করুণ শোক,
যেখানে নির্বাক কান্নার স্রোতে স্মৃতির নিঃশেষিত আর্তি।
চোখের পাতায় প্রাচীন মুদ্রার মতো একটি অনাম্নী চুম্বন,
তুমি অনুপস্থিত, তবু মিশে যাও চোখের অদৃশ্যবৃত্তে,
অস্থিরতার নিঃসঙ্গ স্নায়ুতে প্রতিধ্বনির গোপন ঘর,
অন্তর্দাহে জন্ম নেয় এক নির্বাক শরীরের মৌনতা।
ঘুমের গর্ভে ভেসে ওঠে দগ্ধ অক্ষরের ছাইগন্ধ,
পোড়া মাটির গর্ত থেকে উথলে ওঠে রক্তাক্ত ইতিহাস।
যেন স্মৃতির আঁচলে মোড়া নিস্তব্ধ এক মৃত মায়াবী,
ঝুলে থাকে কালো সময়ের ঘুমহীন সুতোর ফাঁসিতে।
প্রতি রাতে নীল পাখি জানালায় আত্মঘাতী হয়,
তার ঠোঁটে লেখা থাকে আমার অসম্পূর্ণ আর্তনাদ।
আমি ফিরে আসি না, তবু থেকে যাই নামের গভীরে,
কারণ নীরবতা নিজেই এক অমোঘ মহাকাব্য
যা অনুচ্চারিত, তবু চিরজাগরিত ও অবিনাশী।





Leave a comment