বেনোজলে ভেসে আসে জংলার কিছু সাপ-বিচ্ছু,
পদ্মার বুকে ডুবে যায় স্বপ্নবাজ শাবকেরা,
বেহেস্তের সন্ধান পেয়েছে আলোকবর্ষের নাগরিকবৃন্দ
শ্রীবংশের বত্রিশদাঁত চেটে খায় প্রলেতারিয়েতকুল।
শহরের মোড়ে মোড়ে বিজ্ঞাপনের রমণীরা
লোভী ফেরিওয়ালারা ফেরি করে মস্তিষ্কহীন অস্তিত্ব।
কৃত্রিম হাট। প্লাস্টিকের ফুলের মত ভুয়া ভুয়া বিস্ময়,
শিশিরের মতো ভেঙেপড়ে বিষাক্ত নগর।
ভেজা দুপুরের আগুনে গলেপড়ছে স্খলিত সকল প্রজ্ঞা
আঁশটে ধোঁয়ায় মুখগুজে মধ্যরাতের ক্লান্তনারী
ধ্বংসস্তূপ রাত্রিবাহী নক্ষত্রের আঙিনা
ভাঙাচোরা ঘরে শিশু আঁকতে থাকে
শোকার্ত এক মানচিত্র, আন্দামানের নকশা।
এমন ভয়ংকর ফেরাউন সময়!
আমাদের নদী, ক্ষয়িষ্ণু গ্রাম এবং
আমাদের নষ্ট হয়ে যাওয়া ইতিহাস,
আরো কিছু,
চিতাদগ্ধ পূর্ণিমার অভিশপ্ত ললাট,
সর্পিল ইন্দ্রীয়জুড়ে কেউটেদের উৎসব
সবই আজ দ্বিখণ্ডিত বিশ্বাসের শরীর।
ভয়, ক্ষুধা, আর প্রতারণার নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে
জ্বলেওঠে আমার কবিতার বিনিদ্র আগুন।





Leave a comment