আঁতুড়ঘরে বাফারিং বাস্তবতা
(জেগে ওঠো হে কৃত্রিম বানর বংশ!)
আঁতুড় ঘরে হিমায়িত বন্ধ্যা লাশ
নিঃশ্বাসে যেন কাঁচভাঙা শব্দ
ফিনকি দিয়ে ঝলসেওঠে রক্ত!
ডিসপ্লের নিচে মৃত পপআপ,
নিষিদ্ধ নোটিফিকেশন সাউন্ড,
ওয়েভটানেলে ভেসে যায় মৃত বুদ্ধিজীবীদের লাশ,
পিক্সেলে পিক্সেলে বিভক্ত ভয়।
ভয়ংকর একটা ঘূর্ণিঝড়
না, সেটা ছিল পোস্ট করা এক ভাইরাল ভুল,
যার ক্যাপশনে লেখা ছিল:
“নির্বাপিত ইতিহাস আপডেট করতে ব্যর্থ হয়েছে”
সত্যগুলো স্ক্যাফোলোডে ঝোলানো,
আর মেরুদণ্ড?
দ্রৌপদীর বস্ত্রের মতো লোড হচ্ছে…।
বর্গীরা ফিরে এসেছে আবার,
ফাইলপত্রের ছদ্মবেশে:
চিঠিপত্র নয়, এখন নোটিশ সার্ভারে লগ
গ্রাস করছে ঘুমের ব্যাকআপ।
চুরি হয়ে যাচ্ছে প্রাচীন গানের খাতা,
স্বরবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত এমনকি
পয়ারের সকল নান্দনিক মাত্রা,
ছন্দের ডিএনএ থেকে ডিকোড হচ্ছে ভাঙন।
ক্ষুধার্ত মৌসুমি কীটেরা
গিলে খাচ্ছে নরম দুপুর,
সবুজবর্ণের প্রকৃতি ছিঁড়ে ফেলে একরকম ক্লিপবোর্ডে,
খাচ্ছে মানচিত্র,
বৈয়ামে রাখা টকটকে আগুনের সূর্যবৃত্ত।
তাদের বিষাক্ত দাঁতে ঝুলে আছে
ফাঁকা পিএনজি ফাইল,
ছায়া নেই, কাঁপন নেই
নির্বাক স্বাধীনতা!
শুধু হেডার আছে
আমার সোনার বাংলা,
ড্রাফটে হারিয়ে গেছে,
মিসিং কন্টেন্ট!
আর আমার সামান্য ভালোবাসা?
সেও ক্ষুধার্ত এখন,
আঁতুড় ঘরে হুমড়ি খেয়ে বলে:
“ক্ষিদে পেয়েছে, গিলে খাবো আজ
তোমাদের নিষিদ্ধ প্রাচীর”
দশ মাস দশদিনের নষ্ট ইতিহাস!





Leave a comment