আমি প্রতীক্ষায় উদাসীন
ক্লান্তস্বপ্নের পরিধি ঘিরে বিসর্জিত আত্মা।
মায়াবী চোখ তুলে প্রস্থান করে বিমূর্ত চাঁদ
ধীরে ধীরে তুমি যেন হারিয়ে যাচ্ছো
হারিয়ে যাচ্ছে তোমার ঠোঁটে
উদ্বেলিত জ্যোৎস্নাতকাল।
ষোল আনা বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে
বিদগ্ধ চেতনায় কম্পনতুলে
তুমি চলে যাচ্ছো
বুকের ক্যানভাসে এঁকে দিয়ে
রহস্যের কালোরঙ।
মৌনতা পাথর এঁটেছে তোমার বুকে,
উদাসীন সময় পরিয়েছে ক্লান্তির কাফন।
তুমি বিমূর্ত হলে, জগৎ মিথ্যে হয়ে যাবে,
আকাশে জন্মনেবে ঘাসফড়িঙ।
মানুষের বিশ্বাস প্রলোভিত হবে
নষ্ট প্রতিক্রিয়ায়।
তোমাকে নিয়ে অস্তিত্বের মোহনমায়া
তোমার চোখে আমার ক্ষত-বিক্ষত সময়,
আমার ভাঙাপ্রহর কাটে
তোমাকে ঘিরে
তোমাতে বাসকরে সুবর্ণ চঞ্চলহরিণ।
তোমার স্পর্শে গলে যাক কষ্টের
জমাট বরফ,
তোমার নিঃশ্বাসে জেগে উঠুক
চাপাপড়া ফ্যাকাসে ঘাস।
নেচে উঠুক বিস্মরণের অগ্নিদগ্ধ
চাঁদের পেখম
মহাশূণ্যতা ঢেকে দিক অনাহুত পূর্ণিমার চাদর।
তবুও, চলে যাচ্ছো…
অবশেষে
আমার জীবন আমারই নশ্বর কামনার
বিতাড়িত অবক্ষয়।





Leave a comment