একা থাকি, একা থাকার দায় নিয়ে একাই থাকি
উল্টোপাল্টা অনেক রকম অমীমাংসিত কাজের ফাঁকি
তাতেই ভালো, ব্যস্ততা নেই, ক্লান্তি নেই হাহুতাশের
জীবন যেন রঙিন খামে স্বপ্নলোকের শূন্য চিঠি।
বাড়ছে গরম তাতে কি, দ্রোহের আগুণ পুড়ছে ছায়া
মিষ্টি হাওয়ায় স্বস্তি খোঁজার নেই প্রশান্তি।
কোথায় থাকি, কোথায় যাই, ঘরতো নয় কাকের বাসা
আছি যেমন ভালোই থাকি, সব ঋতুতে একই রকম
বৃষ্টি কিংবা খরায় পোড়া জীবনটাকে উল্টো করে স্বপ্ন দেখা।
ভালোই আছি, সস্তা দামের চুরুট ফুঁকে ক্ষিদে মেটাই
হাট বাজারে চড়াও দামে কেনা কাটার ব্যস্ততা নেই।
বুকের ভেতর ঢেউ তুলে যায় অচিন বাঁকে বহতা নদী
রক্তপথে এঁকেবেঁকে চলছে সদাই নষ্টপ্রলয়,অনবধি
কিসের টানে নীতিরীতি রাজনীতিতে চোর পুলিশের লুকোচুরি
মিথ্যে আশে আত্মভুলে নেতা নেত্রীর পা চেটেও স্বস্তি নেই!
তাতেই ভালো, বন্ধু বলে কন্ঠশুনে প্রেমের জ্বালায় একাই পুড়ি ।
ভুল করেছি উদার থেকে, কাছের মানুষ আঘাত করে
বুকের ভেতর ছিদ্রকরে হিংসা নামের শূল ছুড়ে দেয় যখন তখন
হায়রে মানুষ, পণ্য হয়ে বিকলে তুমি, মূল্যহীনের একটা জীবন
জন্ম তোমার বৃথাই হলো কলঙ্ক বা ছুঁয়না যদি
নেইকো দায়, দায় সারাতে উপুড় হয়ে আকাশ দেখি।
মন্দ না, একাই আছি চালচুলো যাচ্ছেতাই, কিছুই নেই,
আত্মীয় কুটুম স্বজন ভজন ভেস্তে যাওয়া হাড়ি পাতিল,
নাই কিছু নেই, অভাবটাই আপন ভেবে সঙ্গে থাকে
যেমন করে রাস্তার পাশে অনাদরে কুকুরটাও আপন ভাবে
আমিও আছি সবইভুলে, বন্ধ্যা সময় উদাস থাকে।
পুজোর থালায় শূন্য ছড়ায়, ওযুর ভয়ে নামাজ কাজা
গীর্জাঘরে পাদ্রী একা মন্ত্রপাঠে, যীশুর আশায়
ভ্রষ্ট মানত, হুমড়ি খেয়ে ছুটছে মানুষ স্বপ্নবুনে
সবকিছুতে একলা ভ্রমণ, আমি আছি একাই ভালো
ডালিম গাছের শাখার বসে চাঁদটা যেমন একলা হাসে।
দায় সারাবার নেইযে দায়, ঘূনেধরা এই সমাজে নেইতো ঠাই
হতচ্ছাড়া একলা সময়, কেউ জানেনা ক্যামনে কাটে
বেশতো আছি, স্বপ্নহীনে ভাসছি কেবল পাড়ভাঙা নদীর জলে
সব খেয়েছে বন্যশুকর, পান্তাভাতে ঘি ঢেলেছে শত্রুভেবে।
বউ ঝিয়েরা ঘোমটা খোলে আমায় দেখে, আড়নয়নে
পাড়ায় পাড়ায় বিচার বসে, গ্রাম ছেড়ে পালাই কবে
একলা থাকার সুখ সহেনা, কপাল পোড়ে বদ্ধঘরে
ভাবছি এবার হারিয়ে যাবো, একলাপথে, জনারণ্যে ।





Leave a comment