হে অন্তর্যামী, তোমার পানে নতজানু,
এই ভয়াবহ, দুঃসহ যাতনা আর সহেনা।
অবিরাম ঘড়িয়াল বাজিয়ে চলে তার ঘণ্টা,
তবুও সময় পেরুয় না।
বিভ্রম আমার ভেতরে নিয়েছে ঠাঁই
হে ঈশ্বর, আমার সময় ফলোদয় হয়না।
ভেস্তে যায় সদুপায়! এবার আমি নতজানু,
আমাকে বিসর্জন দেবো, তুমি করুণা করো
আমার অক্ষম হাতের ললাটের সকল পাপ,
ধুয়ে দাও অনন্ত কৃপাস্রোতে।

দোহাই তোমার, এই দুঃসময় প্রতিহত করো,
আমাকে ঘিরে কেউটেরা
দুচক্ষু বিষ, ক্ষুব্ধ অনাহুত দর্শন।
আমি ধাবক হয়েও হেরে গেছি
বিস্ময়ের চুড়ায় পৌঁছতে পারিনি।
এবার দেবানুগ্রহ হোক, বর্ষিত হোক কল্যাণ,
শান্তির অমিয়ধারা ।
আমি পথভ্রষ্ট, জীবনপথে ক্লান্ত, নিরুপায়
তোমার কৃপায় আত্মস্নিগ্ধ হতে দাও।
এই শূন্যতার গভীরে আমি বৃক্ষ হতে চাই
অথবা, প্রাণবন্ত চন্দ্রপল্লবিত কাশবন,
পূর্ণিমার খেয়াল।

আমি পরাজিত, নতজানু তোমার পানে
যা ছিল ভুল, যা ছিল ত্রুটি
নক্ষত্রের ঘুমন্ত আলোয় মুছে যাক সব,
অনন্ত ধ্যানের পরিধিজুড়ে ফিরে আসুক পঞ্চসুখ।
এ দুঃসময় যেন হিমঘরে আগুনছাই
এক কঠিন উপেক্ষার অন্তহীন অন্ধকার,
অবিরাম, অধীর, কঠিন পাথুরে অপেক্ষা ।

হে অন্তর্লীন, অশ্রুপাতের রেখায় আঁকা ছবি
অস্তিত্বের প্রান্তে আজ থমকে থাকা জীবন,
দহনপীড়ায় বিধ্বস্ত, আমাকে ক্ষমা করো,
নৈঃশব্দ্যের প্রার্থনায় আজ জ্বালিয়ে দাও
অন্তিম আলোয় অগ্নিস্নান প্রহর।
আমাকে পরিশুদ্ধ করো,
সভ্যতার শরীর বেয়ে আমাকে শিল্পিত হতে দাও
উদার হও তুমি,
আমাকে স্বর্গমানবে পরিণত করো.
আমি বেড়ে উঠতে চাই কল্যাণের পথে
তোমার আশ্রয়ে।
আমিন।

Leave a comment

Trending