রাতের শেষ ট্রেনে মিথিলার বাড়ি ফেরার তাড়া;
একখণ্ড মায়ার শরীর, কামহীন বন্ধকীশরীর
শ্রাবণের বৃষ্টিতে ছুঁই ছুঁই ধুয়ে দেয় জরায়ুর বীর্যবীজ
রহস্যকোমল রমণীকে গ্রাস করে শহরের প্রৌঢ়ত্ব
জ্যোৎস্নাত রজনী ভেঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের শেষ গন্তব্য
ঘরে ফেরার তাগিদ।
দৈনতার নিগ্রো দহন, ঘামের গন্ধ, নষ্টমানুষের বেসাতি
ক্লান্তিহীন হিংস্র রক্তক্ষয়, টকটকে লাল ফালি ফালি
তরমুজের ভেতর বিষাক্ত বিষ! কি অদ্ভুত বীভৎস আগুনে
পুড়ে পুড়ে ফিনিক্স পাখি। তারপর মিথিলা স্বৈরিণী, তীর্থে পৌঁছে!
নৈপুণ্যেনির্মিত সার্বভৌমে যখন নি:শর্ত বর্গাচাষে,
ধুসর মেঘের আড়ালে মিথিলা নক্ষত্র হয়ে যায়।
সে তখন প্রতিভাত হয় শিল্পীর ক্যানভাসে;
মিথিলা সমাজের সুশীল প্রান্তর প্রতিনিধিত্ব করে
মিথিলা প্রহর তাড়ায়
মিথিলা এখন স্তব্ধ কাকতাড়ুয়া!





Leave a comment