সময়গুলো আমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছে,
ক্রমশই আমি সীমাবদ্ধতায়
সংকীর্ণ এক অদ্ভুত মানুষে পরিণত হচ্ছি।
সামনে সোনালি ক্ষেত, সবুজ বনাঞ্চল,
পাহাড়ি জলের বাগান কিছুই যেন
চোখের সীমানা স্পর্শ করতে পারেনা।
ভেতরে ভেতরে আমি শূন্য থেকে মহাশূণ্যতায়
অবতরণ করছি।
পাশের বাড়ির ক্যাথরিনের পোষা বেড়াlলটিও
চুপটি করে আমার পায়ের কাছে বসে থাকে,
ক্যাথরিন প্রতিদিন বের হয়ে যায়,
বেড়ালটি পুণ্যতা নিয়ে অপেক্ষা করে..।
জানালার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা গাছটির শাখায়
ছোট্ট একটি পাখির বাসা,
সেখানে পাখিটি নিপুণ পায়ে শৈল্পিক বুননে বাসা বাঁধে
আমি অবাক হয়ে দেখি;
প্রস্তুতি, হয়ত ডিম পাড়বে, তারপর..৷
স্বপ্ন দেখে, অতঃপর একা!
মনে হয় কোটী কোটি মানুষের এই পৃথিবীটাও একা,
নিজের কষ্টের বিষয়গুলো একান্তই নিজের!
আকাশের তারাগুলো লটকে আছে কুঞ্জবনে,
বিনে সুতোয় বেধেরাখা সীমাহীন আকাশটাও
যেন সব হারিয়ে একাই যাপন
অথৈ জলের নীল সাগরটি হাজার যান বুকে নিয়ে একলা ভাসে।
শোক সহেনা দূর পাহাড়ের বুকের কষ্ট
অশ্রু হয়ে ঝর্না নামে।
সব হারিয়ে মরুভূমি একলাই পুড়ে তাপদাহে
কেউ রাখেনা এসব খবর।
ঘরহারা স্বপ্নহীনে উদাস বাউল
একতারাতে বেহাগ সুর,
বনজঙ্গলের তরুলতায়
গুম হয়ে যাওয়া নষ্ট স্মৃতির কষ্টবুনন।
দীর্ঘশ্বাসে কষ্টগুলো তাড়িয়ে দিয়ে
তবুওতো পার হয়ে যায় একটা জীবন।

Leave a comment

Trending