তমিথিলা, আজ তোমাকে পুনশ্চ নন্দিত আসন করে দিচ্ছি
জাতির বিবেকের চৌকাঠে। আজ তোমার জন্য রচিত হচ্ছে
বিশ্বাসের পঙক্তিমালা, তুমি পুণ্যবান হবে অদ্য রজনীতে
বিমূর্ত হ্রদের শরীরে অলঙ্কৃত হবে লাল-সবুজের প্রত্যয়।
মিথিলা, ৪৪টি বছর কেটেছে তোমার পাপময় শরীর নিয়ে
আজ তুমি যমুনার জলে কলঙ্ক মুক্ত হবে
চাঁদভাঙ্গা জ্যোৎস্নার জলে স্নান করানো হবে
তোমার শরীর থেকে নির্গত পাপের রক্তে সৃজনহবে
আজ বিকেলের আকাশজুড়ে রক্তিম কাফেলা।
মিথিলা, তোমার সাথে আজ প্রণয়হবে জীবননান্দের
হিজলবন, জারুল আর শিশিরভেজা দূর্বাঘাসে
তোমাকে ঘিরে ঘুঙুরপরা কিশোরীর পায়ে আবার বাজবে
দোয়েল-শালিকের উদাস করা প্রাণেরসুর।
মিথিলা, কুসুমটানে বঙ্গোপসাগরে আজ মিলিত হবে
নাফ নদীর কোলাহল। বুনোবাতাসে আজ পঞ্চনদীতে
উঠেছে জোয়ার, সেই জোয়ারে ভাসবে পুণ্যের পলি,
‘বেশ্যাবণিতা’ মিথিলার জন্য রচিত হবে স্বর্গপ্রহর!
মিথিলা, তোমার বুকের নিদ্রামগ্ন স্বপ্নটি আজ পুষ্পজ-পুলকিত,
বিদগ্ধ শরীরে লেগেছে বাউরী হাওয়া, বিক্ষত বুকের মোড়কে
আজন্ম প্রত্যাশার দীপ জ্বলে উঠবে আজ এই যামিনীতে
যাবতীয় বিষাদ ভুলে সুদর্শন ভোরের ডাকে।
মিথিলা, তুমি পৃথিবীর কক্ষপথ ধরে হেঁটে বেড়াচ্ছো অবলীলায়
তোমাকে ঘিরে আছে কোঠী মানুষের আত্মবিগলিত প্রাণ
তুমি আজ নশ্বরতাকে অতিক্রম করছো,
তুমি আয়ুস্মান হবে বিশ্বাসের অযুত ও নিযুত স্বপ্নমায়ায়।
মিথিলা, একটি ইতিহাসের নাম
মিলিথা, বাঙালি মননে উচ্চারিত একটি শক্তির নাম
মিথিলা, স্বপ্নময় একটি ভবিষ্যতের নাম।





Leave a comment